শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৪

ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে ইউটিউব








ইউটিউবে ভিডিও দেখতে আর প্রয়োজন নেই ইন্টারনেটের। কয়েকটি দেশে আগেই চালু হয়েছিল এই ব্যবস্থা। ভারতের জন্যই এবার এই সুযোগ নিয়ে এল সর্বাধিক জনপ্রিয় এই অনলাইন ভিডিও সাইট। যে কোনও অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই
থাকবে অফলাইন ইউটিউব ব্যবহারের সুবিধা। বৃহস্পতিবার সংস্থার পক্ষ
থেকে জানানো হয়েছে ইউটিউবের কনটেন্ট এবার
দেখা যাবে অফলাইনেও। ইন্টারনেট থাকার দরকার নেই, মোবাইলে থাকতে হবে ইউটিউব অ্যাপ।
আরও জানা গিয়েছে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে গেলে আসবে বিজ্ঞাপন। তবে ইউটিউবে ঢুকলে সেটা চলে যাবে। ভারতে এই অফলাইন ইউটিউব ভালো বাজার করতে পারবে বলে আশা সংস্থার। ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে আগেই শুরু হয়েছে এই পরিসেবা ।

মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৪

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিরিজের ফোন ব্যবহারকারীরা সাবধান !!

স্যামসাং গ্যালাক্সির বিস্ফোরণে ঘুম ভাঙল ছাত্রীর

 ঘুমন্ত এক ছাত্রীর কানের পাশে ফাটল
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস। রাতে ঘুমোনোর সময় মাথার পাশে ফোনটি নিয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু এবার থেকে সাবধান। সোমবার
ইন্ডিয়া টুডে সিবিসিকে উদ্ধৃত করে এই খবর প্রকাশ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মাসখানেক আগে। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হোপ
ক্যাসারলি বলেছেন, তখন রাত দেড়টা বাজে। কানের
পাশে প্রচণ্ড এক শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়।
লাফিয়ে উঠে দেখি, আমার ফোনের ব্যাটারিটা জ্বলছে। আমি বুঝতে পারি যে আমার ফোনে আগুন লেগে গেছে। ছাত্রীটি এও জানিয়েছেন, রাতে মোটেও ফোনটিচার্জেদিয়েঘুমান­নিতিনি। ফোনের স্ক্রিনটি সিলিংয়ের দিকে রেখছিলেন। ঘটনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই স্যামসংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই ছাত্রী। কী কারণে এমনটা ঘটল জানতে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ ফোনটি কোরিয়ায়
পাঠিয়েছে বলে জানা যায়। সিবিসি নিউজ
স্যামসাংকে উদ্ধৃত
করে জানিয়েছে,
অবিলম্বে সংস্থার পক্ষ থেকে ওই ছাত্রীকে নতুন ফোন দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি সংস্থার দাবি, ওই ছাত্রীফোনটিতেযেব্যাট­ারিব্যবহার করছিলেন, সেটি আসল নয়। গ্রাহকদের আসল
ব্যাটারি ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে স্যামসাং এর পক্ষ থেকে।

 

মোবাইল ফোন ক্রেতাদের জন্য বিরাট সুখবর !!


close



যাঁরা মোবাইল ফোন কেনার কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য এটা একটা বিরাট সুখবর। আপনার কাঙ্ক্ষিত মোবাইল ফোনটি হয়তো আপনার বাজেটের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। কারণ, আগামী বছর মোবাইল ফোনের দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইডিসির গবেষকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন। এএফপির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাজার গবেষকেরা বলছেন, আগামী কয়েক বছরে স্মার্টফোনের বাজার ক্রমশ থিতু হয়ে আসবে। স্মার্টফোন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতার কারণে মোবাইল ফোনের দাম হাতের নাগালে চলে আসবে।
আইডিসির গবেষকেরা বলছেন, ২০১৫ সালে ১৫০ কোটি স্মার্টফোন বিক্রি হবে, যা চলতি বছরের চেয়েও ১২.২ শতাংশ বেশি। কিন্তু ২০১৪ সালে স্মার্টফোনের বাজারে যে ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, সেই তুলনায় আগামী বছর প্রবৃদ্ধি প্রায় অর্ধেকে নেমে আসবে। স্মার্টফোন বাজারে প্রবৃদ্ধির এই ধীরগতির রেশ ২০১৮ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
বাজার গবেষকেরা বলছেন, ২০১৪ সালে স্মার্টফোন গড়পড়তা ২৯৭ মার্কিন ডলার দামে বিক্রি হচ্ছে, যা ২০১৮ সাল পর্যন্ত দাম কমে ২৪১ মার্কিন ডলারে নেমে আসবে। স্মার্টফোনের উঠতি বাজার যেমন—ভারতের মতো দেশে স্মার্টফোন আরও কম দামে পাওয়া যাবে। এসব বাজারে এখন স্মার্টফোনের গড় দাম ১৩৫ ডলার করে হলেও ২০১৮ সালনাগাদ ১০২ ডলারের মধ্যেই স্মার্টফোন পাওয়া যাবে।
আইডিসির গবেষক মেলিসা চাউ জানিয়েছেন, বাজারে সাংঘাতিক প্রতিযোগিতা থাকায় স্মার্টফোন বিক্রি করে অতি মুনাফা করা কঠিন হয়ে যাবে। বিশ্ববাজারে চীনের স্মার্টফোন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানগুলো দাম কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
মেলিসা বলেন, ‘প্রিমিয়াম বা বেশি দামের ফোনগুলো বাজারে টিকে থাকলেও সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোনগুলোতে এখন আরও উন্নত যন্ত্রাংশ দেখা যাবে। ভোক্তাদের উন্নত হার্ডওয়্যারের অভিজ্ঞতার জন্য এখন আর বেশি দামের হ্যান্ডসেটগুলো কেনার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে না। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, স্মার্টফোনের দাম কতটা কম হতে পারে?’
আইডিসির তথ্য অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর স্মার্টফোন বাজারের বেশির ভাগ দখল করে রাখবে। বাজারের ৮০ শতাংশই হবে অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং মুনাফার ৬১ শতাংশ আসবে এই ফোন থেকেই। অ্যাপলের আইফোন ১৩ শতাংশ বাজার দখল করবে এবং মুনাফা করবে ৩৪ শতাংশ।
বাজার গবেষক র‌্যামন লামাস জানিয়েছেন, স্মার্টফোনের বিক্রি কমে যাওয়ায় নির্মাতারা বাজার বুঝে সেই অনুযায়ী স্মার্টফোন ছাড়ার দিকে গুরুত্ব দেবে। অ্যাপল বাজার দখল হারালেও বেশি মুনাফা করার জন্য তাদের বেশি দামের ফোন তৈরি অব্যাহত রাখবে।
আইডিসির গবেষকেরা বলছেন, বাজারে অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয়তার কারণে টাইজেন ও ফায়ারফক্সের মতো নতুন অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর স্মার্টফোনগুলোর টিকে থাকা কঠিন হবে। বাজারে ভোক্তাদের মনোযোগ কাড়তে ভিন্ন ধারার কোনো আবেদন তৈরি করতে হবে এসব স্মার্টফোন নির্মাতাকে।

শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

অবশেষে ফেসবুক ও গুগলের অ্যাডমিন প্যানেল বসছে বাংলাদেশে !

ফেসবুক ও গুগলের অ্যাডমিন প্যানেল বসছে বাংলাদেশে। এর জন্য গুগল ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। চলতি সপ্তাহেই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দুটির অ্যাডমিন প্যানেল বসাতে সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এখন তাদের উত্তরের অপেক্ষা করা হচ্ছে।
বিশ্বে এখন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০০ কোটি। বাংলাদেশে ১ কোটির কিছু বেশি, যার ৮০ শতাংশ পুরুষ। গত মে মাসে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফেসবুক সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন। সে সময় তিনি ফেসবুক পরিচালকদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ফেসবুক পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে আরও কার্যকর ও উপযোগী করে ফেসবুকের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয়।
অতি সম্প্রতি বিটিআরসির সভায় ফেসবুক ও গুগলের অ্যাডমিন প্যানেল স্থাপনে আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগে সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটলে কিংবা ক্ষতিকর কোনো উপাদান সংযুক্ত করা হলে, তার বিরুদ্ধে সহজেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের মাধ্যমে সহজেই ওই ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগের লিঙ্ক বন্ধ করা যায়। এরই মধ্যে এ ধরনের প্রায় এক হাজার লিঙ্ক বন্ধ করা হয়েছে। তবে ফেসবুক কিংবা গুগল পরিচালিত ইউটিউবের কোনো লিঙ্ক এককভাবে বন্ধ করা যায় না। এক লিঙ্ক বন্ধ করতে গেলে পুরো ডোমেইন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সাধারণ ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হন। বাংলাদেশের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে ফেসবুক কিংবা গুগলের কোনো সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি না থাকায় ফেসবুকের কাছে তথ্য চাওয়া হলেও তা তারা দেয় না। গুগলের কাছে কোনো ইউটিউব লিঙ্ক বন্ধের আবেদন জানানো হলে তারা আমলেই নেয় না।

এই স্মারক সই হলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ফেসবুক ও গুগলের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবে এবং ক্ষতিকর উপাদান বন্ধে সহজে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
উল্লেখ্য, বিটিআরসি পরিচালিত বিডি সার্টে ফেসবুক ও ইউটিউবে ক্ষতিকর প্রচারণা সম্পর্কে গত এক বছরে শতাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। বিশেষ করে ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তির চরিত্র হনন সংক্রান্ত অভিযোগ বেশি জমা পড়ে। ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট এবং গ্রুপে ক্ষতিকর প্রচারণার শিকার ব্যক্তি আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। গত জুলাই পর্যন্ত এ ধরনের ১৯টি অ্যাকাউন্ট ও গ্রুপ সম্পর্কে তথ্য চেয়ে ফেসবুকে আবেদন করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ইউটিউবেও ৬টি লিঙ্ক বন্ধের আবেদন করে সাড়া মেলেনি। সাধারণ পদ্ধতিতে রিপোর্ট করেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাড়া পাওয়া যায় না। এ কারণে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ফেসবুক এবং গুগলের অ্যাডমিন প্যানেল স্থাপনের জন্য আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী চলতি সপ্তাহে আবেদন পাঠানো হয়েছে। আবেদনে টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী বিটিআরসি যে রাষ্ট্রীয় স্বাধীন সংস্থা তাও উল্লেখ করা হয়েছে।

facebook log in: m.facebook/mehedihasan.ripon.121