শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

অবশেষে ফেসবুক ও গুগলের অ্যাডমিন প্যানেল বসছে বাংলাদেশে !

ফেসবুক ও গুগলের অ্যাডমিন প্যানেল বসছে বাংলাদেশে। এর জন্য গুগল ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)। চলতি সপ্তাহেই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দুটির অ্যাডমিন প্যানেল বসাতে সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এখন তাদের উত্তরের অপেক্ষা করা হচ্ছে।
বিশ্বে এখন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০০ কোটি। বাংলাদেশে ১ কোটির কিছু বেশি, যার ৮০ শতাংশ পুরুষ। গত মে মাসে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফেসবুক সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন। সে সময় তিনি ফেসবুক পরিচালকদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ফেসবুক পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে আরও কার্যকর ও উপযোগী করে ফেসবুকের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয়।
অতি সম্প্রতি বিটিআরসির সভায় ফেসবুক ও গুগলের অ্যাডমিন প্যানেল স্থাপনে আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগে সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটলে কিংবা ক্ষতিকর কোনো উপাদান সংযুক্ত করা হলে, তার বিরুদ্ধে সহজেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের মাধ্যমে সহজেই ওই ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগের লিঙ্ক বন্ধ করা যায়। এরই মধ্যে এ ধরনের প্রায় এক হাজার লিঙ্ক বন্ধ করা হয়েছে। তবে ফেসবুক কিংবা গুগল পরিচালিত ইউটিউবের কোনো লিঙ্ক এককভাবে বন্ধ করা যায় না। এক লিঙ্ক বন্ধ করতে গেলে পুরো ডোমেইন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সাধারণ ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হন। বাংলাদেশের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে ফেসবুক কিংবা গুগলের কোনো সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি না থাকায় ফেসবুকের কাছে তথ্য চাওয়া হলেও তা তারা দেয় না। গুগলের কাছে কোনো ইউটিউব লিঙ্ক বন্ধের আবেদন জানানো হলে তারা আমলেই নেয় না।

এই স্মারক সই হলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ফেসবুক ও গুগলের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবে এবং ক্ষতিকর উপাদান বন্ধে সহজে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
উল্লেখ্য, বিটিআরসি পরিচালিত বিডি সার্টে ফেসবুক ও ইউটিউবে ক্ষতিকর প্রচারণা সম্পর্কে গত এক বছরে শতাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। বিশেষ করে ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তির চরিত্র হনন সংক্রান্ত অভিযোগ বেশি জমা পড়ে। ফেসবুকের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট এবং গ্রুপে ক্ষতিকর প্রচারণার শিকার ব্যক্তি আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছেন। গত জুলাই পর্যন্ত এ ধরনের ১৯টি অ্যাকাউন্ট ও গ্রুপ সম্পর্কে তথ্য চেয়ে ফেসবুকে আবেদন করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ইউটিউবেও ৬টি লিঙ্ক বন্ধের আবেদন করে সাড়া মেলেনি। সাধারণ পদ্ধতিতে রিপোর্ট করেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাড়া পাওয়া যায় না। এ কারণে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ফেসবুক এবং গুগলের অ্যাডমিন প্যানেল স্থাপনের জন্য আবেদনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী চলতি সপ্তাহে আবেদন পাঠানো হয়েছে। আবেদনে টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী বিটিআরসি যে রাষ্ট্রীয় স্বাধীন সংস্থা তাও উল্লেখ করা হয়েছে।

facebook log in: m.facebook/mehedihasan.ripon.121

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন